নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজ অনুষদে সর্বোচ্চ ফলাফলের জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-১৯ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বিভিন্ন অনুষদের সাতজন শিক্ষার্থী।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় ভৌতবিজ্ঞান অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করায় প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাচ্ছেন মতলবের কৃতি সন্তান প্রমোদ চন্দ্র বৈদ্য। স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক’ ১৯ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন ৭ শিক্ষার্থী। তৎমধ্যে মতলবের সন্তান প্রমোদ চন্দ্র বৈদ্য প্রথম স্থানে রয়েছেন। ইউজিসি রিসার্চ সাপোর্ট এন্ড পাবলিকেশন ডিভিশনের পরিচালক ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানা যায়। শাবিপ্রবির ভৌতবিজ্ঞান অনুষদের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র প্রমোদ চন্দ্র বৈদ্য স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৯২ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তার এই কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য পিতা-মাতা, মামারা সহ পরিবার এবং এলাকাবাসী সকলের সহযোগিতার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের কৃর্তী শিক্ষার্থী মেধা বিকাশ ও অধ্যয়নের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ইউজিসি ২০০৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক প্রবর্তন করেছিল।
চাঁদপুর জেলার মতলব (দঃ) থানার উপাদী গ্রামের মাধব চন্দ্র বৈদ্য এবং প্রিয়বালা বৈদ্য এর বড় ছেলে প্রমোদ বর্তমানে পরমাণু বিজ্ঞানী হিসেবে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত আছেন। দুই ধাপে রাশিয়ান ফেডারেশনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে বর্তমানে রুপপুরে নিউক্লিয়ার সেইফটি এন্ড রিলায়েবিলিটি ডিপার্টমেন্টে দেশের জনগণ এবং পরিবেশের পারমাণবিক সুরক্ষা দেয়ার জন্য কাজ করছেন। নিজের পেশাগত কাজে পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নিরাপদ পরিচালনাই বর্তমানে তার লক্ষ্য।
এর আগে প্রমোদ চন্দ্র বৈদ্য ২০০৫ সালে উপাদী সঃ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। ২০১১ সালে বোয়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে মেধাস্থান অর্জন করে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়েছিলেন। এরপর ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।
দেশের জন্য সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন এবং উত্তরোত্তর সফলতার জন্য তিনি মতলব বাসীর নিকট দোয়া কামনা করেন।